Skip to main content

Posts

Showing posts from June, 2016

চিকেন পকোড়া, মিলনদার ক্যান্টিন এবং কাকা

মুরগী কি লুপ্তপ্রায় প্রজাতির ( endangered species) আওতায় পড়ে ? কলকাতা তথা বৃহত্তর কোলকাতার নানা ফাস্টফুডের দোকানে ‘চিকেন পকোড়া’ নামক বস্তুটা চেখে দেখলে কিন্তু সত্যিই এই সন্দেহটা মনের মধ্যে ঘুরপাক খেতে থাকে | বস্তুতঃ ‘চিকেন পকোড়া’ (চিকেন চপের কথা কিন্তু বলছি না) জিনিসটা খানিকটা ‘ভার্চুয়াল রিয়েলিটি’র মতো | মানে, আপনি ভাবছেন যে জিনিসটা আছে, কিন্তু আসলে নেই | মুরগী-ফুরগি কিচ্ছু না, স্রেফ বাঁধাকপি | ডবল এক্সেল বাঁধাকপির খাঁচার ভেতর মাইক্রোস্কোপিক মাংসের কণামাত্র, কিম্বা মাংস ছাড়ানো একটা হাড় | কখনো কখনো ওই কণাটাও খুঁজে পাওয়া যায়না, শুধু পাওয়া যায় চিকেন মশলার গন্ধ ! মুখের মধ্যে বস্তুটি পুরে আপনি চিকেনের সন্ধানে দাঁত চালাতে থাকেন, পাশ থেকে সেই মেহের আলী যেন বলে ওঠে, “সব ঝুঠ হ্যায়” ! আমাদের পাড়ার বেশ কয়েকটা দোকানে এই বিচ্ছিরি বস্তুটা পাওয়া যায় | সবকটা দোকান থেকেই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নানা সময়ে ওই জিনিটা চেখে দেখেছি | প্রতিবারে একই অভিজ্ঞতা | এক একটার পকোড়ার দাম আজকের দিনে কমবেশি পনেরো টাকা, অথচ খুব বেশি হলে তাতে থাকে দু’টাকার বাঁধাকপি, এক টাকার মাংস, পঞ্চাশ পয়সার তেল-মশলা, আর দোকানদ...

|| হরিপ্রসন্ন এবং আমি ||

  হরিপ্রসন্ন লোকটার সাথে আমার আলাপ আজ থেকে পাঁচ বছর আগে | সেসময় আমি স্কুল মাস্টারের চাকরি নিয়ে গোয়ালিয়র যাব , তারই আগে একদিন ডালহৌসি স্কোয়ারে গিয়েছি , এমন সময় লোকটার সাথে আমার আলাপ হল | তারিখটা ছিল ৬ই জুন , ২০১১ | এরপর তো আমি চললাম গোয়ালিয়র , আমার সাথে হরিপ্রসন্নও গেল সেখানে | আমারই কোয়ার্টারে তারও থাকবার ব্যবস্থা হল | তবে তার জন্য আলাদা বিছানা ছিল না. আমার ঘরে একটা বড় কাঠের টেবিল ছিল , তার উপরেই লম্বা হতো সে | অমন নির্বিবাদী , মু খচোরা কিন্তু ভয়ংকর কর্মঠ লোক আমি আর জীবনে দেখিনি , দিনে দশ-বারো ঘন্টাও কাজ করেও তার কোনো ক্লান্তি থাকত না , তবে মাঝেমাঝে একটু জ্বরজ্বর ভাব হত , গায়ে হাত দিয়ে দেখতাম যে বেশ গরম হয়ে গেছে , তখন একটু বিশ্রাম দেওয়া হত তাকে | একটু বিশ্রামের পরেই চাঙ্গা বোধ করত সে | গোয়ালীয়রে আমি প্রায় সাড়ে তিন বছর ছিলাম – ২০১১ সলের জুলাই মাস থেকে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত | শহর থেকে দূরে ৩০০ ফুট পাহাড়ের উপর হাজার বছরের পুরনো কেল্লার মধ্যে অবস্থিত ১১৫ বছরের পুরনো স্কুল | সপ্তাহান্তে গাড়ি ভাড়া করে একবার নীচের শহরে যাওয়া ছাড়া মূল শহরজীবন থেকে এক প্রকার নির্বাসি...

জীবনবাবুর জীবনকথা

ঠিক ভোর পাঁচটায় , যখন আলো ফুটবে ফুটবে করে , তখন রোজ শুতে যান জীবনবাবু | ভদ্রলোকের নামটা অবশ্য এখন নিতান্তই "কানা ছেলের নাম পদ্মলোচন" হয়ে দাঁড়িয়েছে , সেই বছর তিনেক আগেকার অ্যাক্সিডেন্টের পর থেকে ! তবে এখনো নাস্তিক হয়ে উঠতে পারেননি , তাই ' বৃদ্ধ মুনিঋষি ' কিম্বা Rum চন্দ্রের উপর ভরসা এখনো রয়েছে | নিশুতি রাতে অশ্বত্থ গাছের ওপরের ট্রি-হাউসে বসে জল দিয়ে গোটা এক খান পাঁইট মারেন জীবনবাবু | সঙ্গে নন-ফ্রায়েড ফিশ !! (অবশ্য আগুনের অভাবে সিগারেটের নেশাটা একরকম বাধ্য হয়েই ছাড়তে হয়েছে !) তারপর তৃপ্তির লম্বা ঢেঁকুড় তুলে বিছানায় লম্বা হন তিনি - নাক ডাকান পুরো দিন জুড়ে | তবে দিনের বেলায় মাঝেমাঝে কিরকম একটা ' মানুষে ' আওয়াজে ঘুম ভেঙ্গে যায় জীবনবাবুর | ধড়াস করে বুক কেঁপে যায় তাঁর ! কোনমতে "মরা মরা" জপে নিয়ে আবার চোখ বোজেন জীবনবাবু ! যদিও মানুষে বিশ্বাস করেন না , তবু ভর দুপুরে একা একা থাকতে একটু গা ছমছম করে বৈকি !! পুনশ্চঃ - গল্পটার নাম "ভূতের মুখে Rum নাম" দিলে মন্দ হতো না , তাই না ?? - অর্ঘ্য দাস via   টুকটাক লেখালেখি - Tuktak Lekhalekhi   , দ...