ঠিক ভোর পাঁচটায়,
যখন আলো ফুটবে ফুটবে করে, তখন রোজ শুতে যান
জীবনবাবু | ভদ্রলোকের নামটা অবশ্য এখন নিতান্তই "কানা ছেলের নাম পদ্মলোচন"
হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেই বছর তিনেক আগেকার অ্যাক্সিডেন্টের পর
থেকে ! তবে এখনো নাস্তিক হয়ে উঠতে পারেননি, তাই 'বৃদ্ধ মুনিঋষি' কিম্বা Rumচন্দ্রের
উপর ভরসা এখনো রয়েছে | নিশুতি রাতে অশ্বত্থ গাছের ওপরের ট্রি-হাউসে বসে জল দিয়ে গোটা এক খান
পাঁইট মারেন জীবনবাবু | সঙ্গে নন-ফ্রায়েড ফিশ !! (অবশ্য আগুনের অভাবে সিগারেটের নেশাটা একরকম
বাধ্য হয়েই ছাড়তে হয়েছে !) তারপর তৃপ্তির লম্বা ঢেঁকুড় তুলে বিছানায় লম্বা হন তিনি
- নাক ডাকান পুরো দিন জুড়ে | তবে দিনের বেলায় মাঝেমাঝে কিরকম একটা 'মানুষে'
আওয়াজে ঘুম ভেঙ্গে যায় জীবনবাবুর | ধড়াস করে বুক কেঁপে যায়
তাঁর ! কোনমতে "মরা মরা" জপে নিয়ে আবার চোখ বোজেন জীবনবাবু ! যদিও
মানুষে বিশ্বাস করেন না, তবু ভর দুপুরে একা একা থাকতে একটু
গা ছমছম করে বৈকি !!
পুনশ্চঃ
- গল্পটার নাম "ভূতের মুখে Rumনাম" দিলে মন্দ
হতো না, তাই না ??
Comments
Post a Comment