Skip to main content

GST




1. এই পদক্ষেপে সাময়িক একটু কষ্ট হবে 
2.
কিন্তু ভবিষ্যতে খুব ভালো ফল পাওয়া যাবে 
3.
এতে দেশের সার্বিক উন্নয়ন হবে 
4.
দীর্ঘস্থায়ী এবং বড় মাপের কিছু ভালো জিনিস পেতে গেলে স্বল্পক্ষণের জন্য সামান্য একটু কষ্ট তো সইতেই হবে 
5.
যে কোনো ভালো পদক্ষেপেরই কিছু পার্শ্ব-ক্ষতি (Collateral damage) থাকবে, যদি তুমি নিজে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাক তাহলে নিজেকে এই কথা ভেবে সংযত কর ||

এই বুলি শুনে এসেছি একবার - নোটবন্দীর (demonetization) সময়ে |
এখন আবার শুনছি - GST এর প্রাক্কালে |

আগের বার শুধু অসুবিধাটাই ভোগ করেছি চরম ভাবে, কোনো সুফল আজ অবধি চোখে পড়েনি | কালো টাকা আজও লোকে কামাচ্ছে, কাশ্মীরে আজও পুরো কদমে সন্ত্রাস চলছে, নতুন দু'হাজার আর পাঁচশ' টাকার জালনোটও বেরিয়ে গেছে বহু জায়গায় | এদেশে cashless অর্থনীতির ধারণা এখনো বিশ হাত জলের তলায় |

বা হয়তো গোমূত্র পান করি না বলে মাথাটা পরিষ্কার হয়নি, নাহলে উন্নতিগুলো নিশ্চয়ই চোখে পড়ত |

যাইহোক, এখন GST নিয়েও ওই একই আশার বাণী শুনছি - যেগুলো একদম শুরুতে লিখেছি | কিন্তু মাথায় ঢুকছে না যে কীরকম উন্নতি হবে |

সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে রাতে শুতে যাওয়া অবধি যে জিনিসগুলো আমি ব্যবহার (consume) করি সেগুলোর একটা তালিকা মনে মনে করেছি | সেগুলোর মধ্যে থেকে প্রায় 95 শতাংশ জিনিসের দাম বাড়ছে |

বেতন হেঁটে হেঁটে এগোবে আর জিনিসের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে এগোবে - এতে আমি 'উন্নতি' তো দেখতে পাচ্ছি না কিছুই | দু'মাস পর অবশ্য সরকার নানা হিসাব পেশ করবে, যাতে দেখা যাবে দেশের মারাত্মক সার্বিক উন্নয়ন ঘটেছে - যদিও নিজের ঘরে তার কোনো নমুনাই দেখতে পাবো না | আর তখন যদি এ কথা মুখ ফুটে বলি তাহলেই 'দেশদ্রোহী' 'sickular' ইত্যাদি নানা তকমা জুটবে |

জয় হিন্দ | মেরা দেশ মহান হ্যায় |
___________________________________________
© অর্ঘ্য দাস @ টুকটাক লেখালেখি, দুর্গানগর, 30-06-2016

Comments

Popular posts from this blog

নরেন্দ্রপুরের স্মৃতিকথা (Memoirs of RKM Narendrapur) : পর্ব ১০ : ইতিহাস ক্লাস

**********************************************************************      “ ইতিহাসে পাতিহাস, ভূগোলেতে গোল, অঙ্কেতে মাথা নেই, হয়েছি পাগল ”  বহুদিনের পুরোনো ছড়া  |  আমরা সবাই ছোটবেলায় এটা শুনেছি  |  ‘পাতিহাস’ বলতে কি বোঝানো হয়েছে জানিনা, তবে দুটো মানে বের করা যায়  |  এক, পাতিহাস ডিম পাড়ে, আর ডিম মানেই স্যারের দেওয়া ‘গোল্লা’  |  অন্য মানেটা ক্রিকেটের ‘Duck’ যার অর্থও শূন্য  |  মোদ্দা কথা ইতিহাসে নম্বর পাওয়া দুষ্কর  |  “পরীক্ষার্থী হত ইতি উত্তর লেখবার সময়াভাব, সাময়িক স্মৃতিনাশ এবং স্যারের স্কেল মাপা চেকিং”  |   ফলাফল মুখের হাসিতে ইতি টেনে দেওয়ার উপযোগী মার্কশীট  | পাঠকমাত্রেই মানবেন যে ইতিহাসের সাথে ঘুমের একটা নিবিড় সম্বন্ধ আছে  |  তা সে ইতিহাস বই হোক বা ইতিহাস ক্লাস  |  ছাত্রজীবনে সন্ধ্যাবেলা অন্য যেকোনো সাবজেক্ট পড়ার সময় দিব্বি জেগে থাকতাম. কিন্তু ইতিহাস বই খুললেই কেন জানি পাঁচ মিনিটেই ঘুম চলে আসতো ! আমি তো একবার ক্লাস নাইনে একবার ইতিহাস পরীক্ষা চলাকালীনই ঘুমি...

কাজের মাসি

কাজের মাসি গতকাল আনন্দবাজারের রবিবাসরীয় তে একটা লেখা পড়লাম কাজের মাসিপিসি দের নিয়ে | এ প্রসঙ্গে নিজের কিছু অভিজ্ঞতার কথা মনে পড়ে গেল – তখন আমি যাদবপুর ইউনিভার্সিটিতে পড়ি আর থাকি গড়ফা নামক একটি জায়গায় মেসবাড়িতে | আমাদের মেসে রান্না, বাসন মাজা, ঘর পরিষ্কার ইত্যদি কাজ করত সবিতা দি | সদা হাস্যমুখ এই সবিতাদির বাড়ি ছিল নরেন্দ্রপুরে | মাঝেমাঝেই সবিতাদির নানা উদ্ভট কথাবার্তায় আমরা যারপরনাই পুলকিত হতাম | আমাদের মেসের মনোজিত আর সুদীপকে চিরকাল সবিতাদি ‘মনোদীপ ভাই’ আর ‘সুজিত ভাই’ বলেই ডেকে এসেছে, বহুবার সংশোধন করার চেষ্টা করেও কোনো লাভ হয়নি | আমাকে বলত ‘মোটাভাই’ | স্কচ বাইট কে বলত ‘কসবা’ | মাছের ঝোল, মাংসের ঝোল কে বলত ‘মাছের তরকারী’ আর ‘মাংসের তরকারী’ | তখনো তৃনমূল ক্ষমতায় আসেনি, একদিন সবিতাদি এসে বলল, “ও ভাই জানো, আমাদের পাড়ায় কাল রাতে ঝামেলা হয়েচিল, এখন নতুন কি একটা পার্টি এসেচে না - ‘তিন আঙ্গুল’ না ‘দুই আঙ্গুল’ কি একটা নাম, তাদের সাথে ছি পি এমের | মারপিট ও হয়েচে |” আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম নতুন কোনো পার্টি সত্যিই বোধহয় এসেছে যাদের চিহ্ন ওই আঙ্গুলমার্কা ভিকট্রি সাইন ! মিনিট খানেক পর...
  ঝাড়গ্রাম : বসন্ত ১৪২৭ স্কুল পাশ করেছি সতেরো বছর হয়ে গেল | তারপর এই প্রথম আমার সুযোগ হলো স্কুলের বন্ধুদের সাথে কোথাও বেড়াতে যাওয়ার | দু তিনটে জায়গা মাথায় ছিল – ঘাটশিলা , ঝাড়গ্রাম, অযোধ্যা পাহাড় | এই বসন্তের শুরুতে তিনটে জায়গাই মনোরম | শেষমেষ ঝাড়গ্রাম WBFDC এর গেস্ট হাউসের ছবি দেখে সেটাই ফাইনাল করা হলো | 6 ই মার্চ, 2021, শনিবার          ডিমসেদ্ধ : সকাল সাড়ে দশটা - ক্যালেন্ডারে মার্চের শুরু হলেও বেজায় গরম. আমি দরদর করে ঘামছি ডেবরা চৌমাথায় (পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা) দাঁড়িয়ে, হাতে আমার একুশটা হাঁসের ডিম সেদ্ধ, সাথে পেঁয়াজ লঙ্কা কুচি এবং সাদা ও কালো নুন | এক সপ্তাহ আগে করা প্ল্যান অনুযায়ী আমরা নাকি আগামী দু’ ঘন্টায় গাড়িতে বসে পার হেড পাঁচটা করে হাঁসের ডিম খাবো | ওদিকে সৌমাভ ওর গাড়িতে গোল (সুমিত্র) আর পকাই (অর্ক) কে নিয়ে আসছে কলকাতা থেকে |          বব মার্লে : শেষমেষ আমায় প্রায় ঘন্টা খানেক রোদে দাঁড় করানোর পর তাঁরা এলেন এবং বসন্তের এই অকাল দাবদাহ থেকে আমায় মুক্তি দিলেন | ঠান্ডা গাড়িতে উঠে ওদের আনা এগ স্যান্ডউইচ আর কোলাঘাট KFC থেকে কেনা মুর...