Skip to main content

Posts

Showing posts from August, 2016

পুরোনো পুজো

আজকের গতিময়ে জীবনে সব কিছুই সহজলভ্য | দু ' একটা উদাহরণ দেওয়া যাক - amazon য়ে (বা shopclues কিম্বা e-Bay তে) আপনি অর্ডার করলেই বাড়ির দোরগোড়ায় এসে যাবে ' ঘুঁটে ' | হ্যাঁ , একেবারে খাটি গোরুর খাঁটি গোবরে তৈরী ঘুঁটে - বারো পিস , আড়াইশো টাকায় ! (লিংক- পোস্টের নীচে) কিম্বা শহরের দুষণে ব্যতিব্যস্ত হয়ে গেছেন , তাজা বাতাসে দু ' দন্ড শ্বাস নেবেন ভাবছেন ? চাপ নেই , অনলাইনে অর্ডার করে দিন - এসে যাবে টিনের ক্যানে ভরা কানাডার লেকের বিশুদ্ধ বাতাস , কোল্ডড্রিংকের ক্যানের মতো জিনিস , টুক করে একটু হাওয়া খেয়ে নিন (লিংক- পোস্টের নীচে) | চিনে নাকি হরদম বিক্রি হচ্ছে এই জিনিস | এ জিনিস অবশ্য আমাদের দেশে এখনো আসেনি , তবে আসতেও বোধহয় বেশি দেরী নেই | বিশ্বায়ন এক জবরদস্ত চিজ ! নাকি আজকের গতিময় জীবনে কোনো কিছুই সহজলভ্য নয় ? বা আদৌ লভ্য নয় ? আধুনিকতার গ্রাসে হারিয়ে যাচ্ছে সব সহজ সরল জিনিস ? তাই কদিন আগেও যে জিনিস বিনামূল্যে (বা অতি সামান্য মূল্যে) অনায়াসে পাওয়া যেত সেটাই আজ কষ্ট করে অনেক বেশি দাম দিয়ে কিনতে হবে ? কঠিন প্রশ্ন ! পঞ্চাশ বছর পর এই পুজোর সিজনেই হয়ত এদেশে অনলাইনে বিক্র...

প্রাক-ঘটনা আনন্দ

এই যে "পুজো আসছে , পুজো আসছে" ভাবটা , যেটা এখন শুরু হয়ে গেছে , এটা ভারী আনন্দের | এই মজাটা থাকবে পঞ্চমীর রাত পর্যন্ত , যেই ষষ্ঠী শুরু হয়ে যাবে ওমনি মনটা খারাপ হয়ে যাবে , খালি মনে হবে যে এবারের পুজো তো প্রায় শেষ , আবার এক বছরের প্রতীক্ষা !! " কদিন পরে খুব মজা করব" এই অনুভূতিটা "আসল দিনে মজা করা"র থেকে বেশি আনন্দদায়ক !! খেতে বসে হামেশাই এরকম অভিজ্ঞতা হয় আমার - ধরা যাক , রোববার দুপুরে গুছিয়ে খেতে বসেছি | ডাল আর ভাজা দিয়ে খেতে খেতে মাঝেমাঝেই খাসির মাংসের বাটিটার দিকে আড়চোখে তাকিয়ে মনের ম ধ্যে কিরকম একটা তূরীয় আনন্দ অনুভব করি | এই "প্রাক-পাঁঠা ভোজনের আনন্দ" কিন্তু পাঁঠা-ভোজনকালীন আনন্দের থেকে বেশি হয় !! কোনো জায়াগায় (বিশেষতঃ পাহাড়ে) বেড়াতে যাওয়ার দু-এক সপ্তাহ আগে থেকে কিরকম একটা অনির্বচনীয় আনন্দ হয় , পেটের ভিতরটা কিরকম গুড়গুড় করতে থাকে | আসল জায়াগায় পৌছে কিন্তু অতটা রোমাঞ্চ আর হয় না !! ©   অর্ঘ্য দাস @ টুকটাক লেখালেখি , দুর্গানগর , ২৪-০৮-২০১৬

অবকাশ সফর বনাম তীর্থ দর্শন

আধুনিক প্রজন্মের অধিকাংশ বাঙালিই ঘুরতে ভালবাসে | আমার বন্ধুবান্ধব , আত্মীয়-পরিজন , পাড়াপড়শী সকলেই সুযোগ পেলেই হাপিস হয়ে যায় প্রকৃতির কোলে - পাহাড়-জঙ্গল-মরুভূমি-নদী -সমুদ্রে |   একঘেঁয়ে ক্লান্তিকর জীবনযাত্রা থেকে সাময়িক মুক্তিলাভ করাই এই ভ্রমনের মুখ্য উদ্দেশ্য | সাড়ে তিন বছর মধ্যপ্রদেশের গোয়ালীয়রে থাকাকালীন একটা অদ্ভুত জিনিস খেয়াল করেছি যে অবাঙালি ভারতীয়দের (মূলতঃ উত্তর , উত্তর-পশ্চিম ও মধ্যভারতের বাসিন্দাদের) মধ্যে এই সপরিবারে nature-trip- এর প্রবণতাটা একেবারেই নেই |   মানে ওরা যে ঘরকুনো সেটা বলছি না , বছরে ওরাও সপরিবারে এক-দুবার বেড়াতে বেরোয় , তবে সেটা তীর্থভ্রমনে |   প্রকৃতির সঙ্গলাভ নয় , পুণ্য অর্জনই এই ভ্রমনের উদ্দেশ্য | গোয়ালীয়রে এমন অনেক ছাত্র / সহকর্মীকে দেখেছি যারা সপরিবারে এ যাবৎ প্রায় ১৫ -১৬ বার বৈষ্ণোদেবী দর্শন করে এসেছে অথচ একবারও শ্রীনগর ঘুরতে যায়নি |   ভুস্বর্গের এতটা কাছে গিয়েও তাদেরএকবারও ইচ্ছা হয়নি সেখানে ঘুরতে যাওয়ার ! আরেকবার এক বিহারী নবদম্পতির কথা শুনেছিলাম যারা হনিমুন হিসাবে চারধাম দর্শনের প্ল্যান করেছিল ! এদের কাছে সপরিবারে বেড়াতে যাওয়া...