Skip to main content

Pun সংকলন (বিবিধ)

 নিয়মিত ফেসবুকে আমি নানা রকম Pun পোস্ট করে থাকি | শব্দ নিয়ে খেলা করা আমার অতি পছন্দের অভ্যাস | ছোটবেলা থেকেই আমি লেখক শিব্রাম চক্রবর্তীর অন্ধ ভক্ত | তাঁর লেখা পড়ে পরেই এরকম Pun-আসক্ত হয়ে পড়েছি !! এখানে নানা সময়ে আমার লেখা pun-এর কয়েকটা দিলাম -

|| পর্ব ১ : আমচরিত ||
© অর্ঘ্য দাস @ টুকটাক লেখালেখি, ২৭-০৪-২০১৬
 ১) "সাধের আমগাছটি সেই মহিলার অত্যন্ত প্রিয়. যেন নয়নের মণি"- ইংরাজি অনুবাদ করো
উত্তর: 'Her-মণি-আম' গাছ
২) "মানুষটি যায়" - ইংরাজি অনুবাদ কর
উত্তর : The MANGOES
৩) Thor-এর ভাই Loki যে জাতের আম খেতে ভালবাসেন - আমLoki
৪) আম রাখবার পাত্র - আমদানি (যেমন ফুল রাখবার পাত্র হল ফুলদানি)
৫) আম খাওয়ার ইচ্ছা/আশা - আমাশা
৬) যারা আম খায় - আমজনতা

|| পর্ব ২ : ভোজনরসিক বাঙালী ||
© অর্ঘ্য দাস @ টুকটাক লেখালেখি, দুর্গানগর, ২৬-০৪-২০১৬
 ১) অনেকগুলো barbie doll সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড় করিয়ে রাখা আছে | এদেরকে একসাথে কী বলা যায় ?
উত্তর : barbecue < Barbie queue
২) যিনি একগাদা (রাশি রাশি) চিকেন / মাটন 'চাপ' অবলীলায় খেয়ে ফেলতে পারেন তাঁকে কি বলে ?
উত্তর : চাপরাশি
৩) নামটি তার 'কাটলেট' হলেও জিনিসটি কিন্তু একদম 'Late' না করেই 'Cut' করে মুখের মধ্যে paste করতে হয় !!
৪) আজকাল বেশিরভাগ বাঙালী কবি-ই রাজি নন 'কবিরাজি'র (ফিস/চিকেন/মাটন) আমন্ত্রণ উপেক্ষা করতে !
৫) এই গ্রীষ্মে রাজা-উজির-ভিআইপি মানুষেরাও 'আম'-জনতা হয়ে যান !!

|| পর্ব ৩ : লাল-Pun ||
 ১) কম্যুনিস্টরা ঈশ্বরে বিশ্বাস না করলেও ঈশ্বর কম্যুনিজমে বিশ্বাস করেন,
কারণ –
'বিধিবাম' !! 
২)  পরীক্ষায় ভুল করলে নম্বর বাদ (কাটা) যাওয়ার ঘটনাকে কী বলে ?
উত্তর : মার্কস-বাদ
৩) রাস্তার 'বাঁ' দিক দিয়ে লম্বা 'লাইন' দিয়ে মিছিল চলেছে .....
দেশটার নাম বলুন তো !!
উত্তর : Queue-বাঁ (কিউবা)
 || পর্ব ৪ : বাংলার 'Bug' ||
 ১) প্রশ্ন : পশ্চিমবঙ্গের কোন জায়গায় কোনো ছারপোকা নেই ?
উত্তর : Bug-none (বাগ-নান)
2) প্রশ্ন : কোন জায়গার লোকেরা ছারপোকা দেখলেই সেটা মারার জন্য ব্যস্ত হন ?
উত্তর: Bug-মারি (বাগমারি)
৩) প্রশ্ন : ঝগড়া-বিবাদরত ছারপোকাদের কী বলে ?
উত্তর : বিবাদী-Bug
৪) প্রশ্ন : ভারতের কোন শহরে সবথেকে বেশি পরিমানে ছারপোকার বাস ?
উত্তর : হাজারি-Bug
5) প্রশ্ন : কোন বাজারে ছারপোকা বিক্রি হয় ?
উত্তর: Bug-বাজার 
৬) প্রশ্ন : কোন জায়াগায় ছারপোকারা খুব নিশ্চিন্তে থাকে, কারণ সেখানকার মানুষ ছারপোকা মারে না ?
উত্তর: আরাম-Bug 
এই Bug-সিরিজটি নিজের মাথা খাটিয়ে লিখে ফেসবুকে পোস্ট করেছিলাম 24 এপ্রিল, ২০১৬ তারিখে | দিন তিন-চার পর এই পোস্টটি অন্য কলেবরে, অন্য পেজের logoযুক্ত হয়ে ফেসবুক ছেয়ে ফেলে | এই চৌর্যবৃত্তি আটকানো আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না, প্রতিবাদ করেও বিশেষ লাভ হয় নি | সোশ্যাল নেটওয়ার্কে এমনিতেই কপিরাইট নামক বস্তুটির কোনো অস্ত্বিত্ব নেই |  


|| পর্ব ৫ : খানাপিনা ||

'পান' ( beetle) জিনিসটা কিন্তু মোটেও পান করা যায়না, রীতিমতো চিবিয়ে চিবিয়ে খেতে হয় | ওদিকে 'খাবি' (হিমসিম) জিনিসটা আদৌ খাবার জিনিস না, মানে ওটা একেবারেই অখাদ্য, বিদঘুটে এক অবস্থা | হিম-শিম, মানে ফ্রিজে রাখা হিমায়িত কাঁচা শিম খেলে অবশ্য ওরকম একটা অবস্থা হতে পারে, যাকে কিনা 'খাবি খাওয়া' বলা যেতে পারে | তবে এমতঅবস্থায় আরো কিছু খাওয়া রীতিমতো বিপজ্জনক, তখন খানিকটা খোলা বাতাস পান করলে খানিকটা সুস্থ বোধ করা যায় |

তবে আমাদের বাঙালিদের কোনো চাপ নেই, মানে চিকেন বা মাটন চাপের কথা বলছিনা কারণ সেদিক থেকে আমরা বাঙালিরা তো 'চাপরাশী' (রাশি রাশি চাপ খেতে ওস্তাদ) | আমি বলছি আমাদের ভাষার সুবিধার কথা - আমরা সব কিছুই খাই, মানে কোনো কিছুই পান করি না | পান-পানি-পান্তুয়া-পান্তাভাত-আম পান্না, কিম্বা বিরিয়ানি-সিগারেট-জল-মদ-বাতাস-বাতাসা তো আছেই, সেই সাথে চাপ-সেন্টু-কেস-বার (ভিন্নমতে বাড়) - সবকিছুই আমরা খেয়ে থাকি | চিরদিনই খাই-খাই করা আমাদের একটা বদভ্যাস |

নমস্য শিব্রাম চক্রবর্তী মশাই আবার সবকিছুই Pun করতেন, কোনো কিছুই খেতেন না | 

 © অর্ঘ্য দাস @ টুকটাক লেখালেখি, দুর্গানগর, ৬-৫-২০১৬)

পুনশ্চঃ - একটা সময় শাহরুখ খান 'MAYUR SUITING'-এর বিজ্ঞাপন করতেন সেই বিজ্ঞাপনে তিনি নিজেকে 'শাহরুখ ময়ূর খানবলে অভিহিত করতেন | এরপর থেকে একটা চুটকি লোকমুখে ছড়িয়ে পড়ে | বহুদিন আগের কথা হলেও চুটকিটা আমার হুবহু মনে আছেনিচে দিলামপড়ে দেখুন :
শিক্ষক : ফড়িং-কে কে খায় ?                   
ছাত্র : ব্যাঙ
 
শিক্ষক : কোন প্রাণী ব্যাঙ-কে খায় ?
 
ছাত্র : সাপ
 
শিক্ষক : সাপ-কে কে খায় ?
ছাত্র : ময়ুর
 
শিক্ষক : এবার বলো ময়ূর-কে কোন প্রাণী খায় ?
ছাত্র (পাঁচ সেকেন্ড ভেবে নিয়ে) : স্যার, "শাহরুখ ময়ূর খান"
 


|| গুড় সন্দেশ ||



|| টরেটক্কা ||
                    
1.            টাটা – বিদায় সম্ভাষণ / কোম্পানি

2.            টিটি – খেলা (টেবিল টেনিস)

3.            টোটো – গাড়ি

4.            টুটু – বাঙালিদের মধ্যে ডাকনাম হিসাবে ব্যবহৃত 

5.            টোটা - বন্দুকের কার্তুজ

6.            টুঁটি – কন্ঠনালী

7.            টাটি – মাটির ভাঁড় / চাটাই-য়ের বেড়া

8.           ট্যাটু – উল্কি     

9.            টাট্টু – ছোট্ট ঘোড়া

10.        টাট্টি – মল

        - অর্ঘ্য দাস @ টুকটাক লেখালেখি, দুর্গানগর, ১১-০২-২০১৬  



|| রংবাজি নাকি শব্দবাজি ? ||

আমি : আরে, ডমরুধর যে ! খুব রংবাজি করছিস যে ?
ডমরুধর : বা রে ! আজ তো হোলি-day ! তবে একটু ভুল বললি ভাই -  আজ শুধু রং, দিওয়ালিতে বাজি |
আমি : আমার কাছেও holiday, মানে ছুটির দিনের মজাই আলাদা | সারাদিন শুধু খাও আর ঘুমাও |
ডমরুধর :  তোর তো খালি খাওয়া আর ঘুম !
আমি : তা তো নিশ্চয়ই ! তবে আজকের দিনটা ভক্তদের কাছে কিন্তু Holy day, ছবি দেখিসনি শ্রীকৃষ্ণ সখীদের সাথে হোলি খেলছেন ?
ডমরুধর : তা দেখেছি বৈকি | তাছাড়া ২১ শে জুলাইও তোর কাছে holyday |
আমি : আরে, ওটা তো আমার জন্মদিন !
ডমরুধর: সেজন্যই তো বলছি - ওই dayতেই তো তুই হলি !
© অর্ঘ্য দাস @ টুকটাক লেখালেখি, দুর্গানগর, ২৩-০৩-২০১৬ 

|| রামনাম সংকীর্তন ||




Comments

Popular posts from this blog

নরেন্দ্রপুরের স্মৃতিকথা (Memoirs of RKM Narendrapur) : পর্ব ১০ : ইতিহাস ক্লাস

**********************************************************************      “ ইতিহাসে পাতিহাস, ভূগোলেতে গোল, অঙ্কেতে মাথা নেই, হয়েছি পাগল ”  বহুদিনের পুরোনো ছড়া  |  আমরা সবাই ছোটবেলায় এটা শুনেছি  |  ‘পাতিহাস’ বলতে কি বোঝানো হয়েছে জানিনা, তবে দুটো মানে বের করা যায়  |  এক, পাতিহাস ডিম পাড়ে, আর ডিম মানেই স্যারের দেওয়া ‘গোল্লা’  |  অন্য মানেটা ক্রিকেটের ‘Duck’ যার অর্থও শূন্য  |  মোদ্দা কথা ইতিহাসে নম্বর পাওয়া দুষ্কর  |  “পরীক্ষার্থী হত ইতি উত্তর লেখবার সময়াভাব, সাময়িক স্মৃতিনাশ এবং স্যারের স্কেল মাপা চেকিং”  |   ফলাফল মুখের হাসিতে ইতি টেনে দেওয়ার উপযোগী মার্কশীট  | পাঠকমাত্রেই মানবেন যে ইতিহাসের সাথে ঘুমের একটা নিবিড় সম্বন্ধ আছে  |  তা সে ইতিহাস বই হোক বা ইতিহাস ক্লাস  |  ছাত্রজীবনে সন্ধ্যাবেলা অন্য যেকোনো সাবজেক্ট পড়ার সময় দিব্বি জেগে থাকতাম. কিন্তু ইতিহাস বই খুললেই কেন জানি পাঁচ মিনিটেই ঘুম চলে আসতো ! আমি তো একবার ক্লাস নাইনে একবার ইতিহাস পরীক্ষা চলাকালীনই ঘুমি...

কাজের মাসি

কাজের মাসি গতকাল আনন্দবাজারের রবিবাসরীয় তে একটা লেখা পড়লাম কাজের মাসিপিসি দের নিয়ে | এ প্রসঙ্গে নিজের কিছু অভিজ্ঞতার কথা মনে পড়ে গেল – তখন আমি যাদবপুর ইউনিভার্সিটিতে পড়ি আর থাকি গড়ফা নামক একটি জায়গায় মেসবাড়িতে | আমাদের মেসে রান্না, বাসন মাজা, ঘর পরিষ্কার ইত্যদি কাজ করত সবিতা দি | সদা হাস্যমুখ এই সবিতাদির বাড়ি ছিল নরেন্দ্রপুরে | মাঝেমাঝেই সবিতাদির নানা উদ্ভট কথাবার্তায় আমরা যারপরনাই পুলকিত হতাম | আমাদের মেসের মনোজিত আর সুদীপকে চিরকাল সবিতাদি ‘মনোদীপ ভাই’ আর ‘সুজিত ভাই’ বলেই ডেকে এসেছে, বহুবার সংশোধন করার চেষ্টা করেও কোনো লাভ হয়নি | আমাকে বলত ‘মোটাভাই’ | স্কচ বাইট কে বলত ‘কসবা’ | মাছের ঝোল, মাংসের ঝোল কে বলত ‘মাছের তরকারী’ আর ‘মাংসের তরকারী’ | তখনো তৃনমূল ক্ষমতায় আসেনি, একদিন সবিতাদি এসে বলল, “ও ভাই জানো, আমাদের পাড়ায় কাল রাতে ঝামেলা হয়েচিল, এখন নতুন কি একটা পার্টি এসেচে না - ‘তিন আঙ্গুল’ না ‘দুই আঙ্গুল’ কি একটা নাম, তাদের সাথে ছি পি এমের | মারপিট ও হয়েচে |” আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম নতুন কোনো পার্টি সত্যিই বোধহয় এসেছে যাদের চিহ্ন ওই আঙ্গুলমার্কা ভিকট্রি সাইন ! মিনিট খানেক পর...

নরেন্দ্রপুরের স্মৃতিকথা (Memoirs of RKM Narendrapur) : পর্ব ৩ - ঘন্টা, আলু এবং ব্রহ্ম

নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনে ছাত্রদের দৈনন্দিন আবাসিক জীবনকে নিখুঁতভাবে তুলে ধরেছে এই ছোট্ট ছড়াটা - “ নরেন্দ্রপুরে সময় ঘন্টাময় , খাদ্য আলুময় , চিন্তা ব্রহ্মময়  | ” অনেকদিন আগে শোনা এই ছড়ার রচয়িতার নাম আমার জানা নেই , কিন্তু ছড়াটা এতটাই প্রাসঙ্গিক যে এটা আমার মনের মধ্যে যেন গেঁথে গেছে  | ************************************************************ প্রথম ভাগ : ঘন্টা বাস্তবিকই আমাদের আবাসিক জীবন ছিল ঘন্টা-নিয়ন্ত্রিত  |   ভোর পাঁচটায় rising bell শুনে ঘুম ভাঙতো , তারপর ঘন্টার তালে তালে সেই যে লেজ তুলে দৌড় শুরু হত , সেটা থামত রাত সাড়ে দশটা নাগাদ , ‘lights out’ এর ঘন্টাধ্বনি শুনে  |   চার বেলা ডাইনিং হলে খেতে যাওয়ার ঘন্টা , প্রার্থনা কক্ষে যাবার ঘন্টা , স্কুলে যাবার ঘন্টা , হোস্টেলে পড়া শুরু করার ঘন্টা , খেলতে যাবার ঘন্টা , রাত্রে শুতে যাবার ঘন্টা – আমাদের প্রতিটা কাজ ছিল ঘন্টা-নিয়ন্ত্রিত  | প্রতিদিন এই সময়ে-অসময়ে ঘন্টা বাজানোর জন্য প্রত্যেক ভবনে (হস্টেলে) প্রতি মাসে দু’জন ছাত্রকে নিয়োগ করা হতো , এদের বলা হতো ‘...