(1) ঘুম ভাঙা নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনে আমাদের রোববারগুলো ছিল বেশ কর্মমুখর, সেখানে আলসেমির খুব একটা জায়গা ছিল না | সেই সাতসকালেই উঠতে হতো ঘুম থেকে, সপ্তাহের বাকি ছ'দিনের তুলনায় মাত্র পনেরো মিনিট বেশি ঘুমাতে পারতাম আমরা ঐদিন | যেমন এই শীতের সময়ে সপ্তাহের বাকি দিন ঘুম থেকে উঠতে হয় সকাল সাড়ে পাঁচটায়, আর রবিবার পৌনে ছ’টা অবধি ঘুমানো যায় | রবিবারের প্রেক্ষিতে ঐ পনেরো মিনিটের ছাড়টুকুই পর্যাপ্ত বলে মনে করেন মিশন কর্তৃপক্ষ | ঘুমের লেজ-স্বরূপ বিছানায় বসে লেপজড়ানো আলস্যের কোনো জায়গা নেই সেখানে, একে তো ঢং ঢং করে ঘন্টা (rising bell) বেজে চলে আর সেই সাথে শুরু হয়ে যায় হোস্টেলের স্যার-মহারাজদের রাউন্ড দেওয়ার পালা | তাছাড়া ঘুম থেকে উঠতে দেরী হলে ডাইনিং হল, প্রেয়ার হল ইত্যাদি জায়গায় যেতে দেরী হয়ে যাবে, তখন সেই সবের জন্য জুটতে পারে শাস্তির ধাক্কা ! হোস্টেলের ঘর (2) হট ড্রিংক : ঘুম থেকে উঠে দাঁত মাজা, প্রাতঃকৃত্য ইত্যাদি সম্পন্ন করে পনেরো মিনিটের মধ্যে আমাদের পৌঁছতে হত ডাইনিং হলে, সেখানে ‘হট ড্রিংক’ হিসাবে মিলত দুধ,...