Skip to main content

Posts

Showing posts from August, 2015

নরেন্দ্রপুরের স্মৃতিকথা (Memoirs of RKM Narendrapur) : পর্ব ১০ : ইতিহাস ক্লাস

**********************************************************************      “ ইতিহাসে পাতিহাস, ভূগোলেতে গোল, অঙ্কেতে মাথা নেই, হয়েছি পাগল ”  বহুদিনের পুরোনো ছড়া  |  আমরা সবাই ছোটবেলায় এটা শুনেছি  |  ‘পাতিহাস’ বলতে কি বোঝানো হয়েছে জানিনা, তবে দুটো মানে বের করা যায়  |  এক, পাতিহাস ডিম পাড়ে, আর ডিম মানেই স্যারের দেওয়া ‘গোল্লা’  |  অন্য মানেটা ক্রিকেটের ‘Duck’ যার অর্থও শূন্য  |  মোদ্দা কথা ইতিহাসে নম্বর পাওয়া দুষ্কর  |  “পরীক্ষার্থী হত ইতি উত্তর লেখবার সময়াভাব, সাময়িক স্মৃতিনাশ এবং স্যারের স্কেল মাপা চেকিং”  |   ফলাফল মুখের হাসিতে ইতি টেনে দেওয়ার উপযোগী মার্কশীট  | পাঠকমাত্রেই মানবেন যে ইতিহাসের সাথে ঘুমের একটা নিবিড় সম্বন্ধ আছে  |  তা সে ইতিহাস বই হোক বা ইতিহাস ক্লাস  |  ছাত্রজীবনে সন্ধ্যাবেলা অন্য যেকোনো সাবজেক্ট পড়ার সময় দিব্বি জেগে থাকতাম. কিন্তু ইতিহাস বই খুললেই কেন জানি পাঁচ মিনিটেই ঘুম চলে আসতো ! আমি তো একবার ক্লাস নাইনে একবার ইতিহাস পরীক্ষা চলাকালীনই ঘুমি...

Index

স্কুল ডায়েরি - নরেন্দ্রপুরের স্মৃতিকথা  ( Memoirs of RKM Narendrapur ) পর্ব ১ (ক) :   অজিতদা পর্ব ১ (খ) : আবার অজিতদা পর্ব ১ (গ) : অজিতদাকে নিয়ে আমার লেখা আনন্দবাজার পত্রিকায় পর্ব ২ :   সরস রসায়ন ক্লাস : ‘ফিল্টার কাগজ হেঁয়াও’ পর্ব ৩ :   ঘন্টা ,   আলু এবং ব্রহ্ম পর্ব 8: হিন্দি শিক্ষার ধাক্কা - "উল্লু কা পাঠ্ঠা" আর "শয়তানি মুলো" পর্ব ৫ : নিখিলদা পর্ব ৬ : কাঁড়ি দিবস পর্ব ৭ : আবাসিক জীবনের সাতকাহন পর্ব ৮ : কয়েদী নম্বর ,   সিলিং ফ্যান এবং   ' সচিন বনাম সৌরভ '   ঝগড়া পর্ব ৯ :মুড়ি মাহাত্ম্য পর্ব ১০ :ইতিহাস ক্লাস পর্ব ১১ :জোড়া ভৌগলিক   পর্ব ১২ : আবাসিক জীবনের রোববার পর্ব ১৩ : ইংরাজি বিভ্রাট পর্ব ১৩: আবাসিক জীবনের রোববার   ট্রাভেলগ ১.   A Journey to Remember - উত্তরাখন্ডের চম্বা ২.   অরণ্যের দিনরাত্রি (১) - মাধব ন্যাশনাল পার্ক ,  শিবপুরি ,  মধ্যপ্রদেশ ৩.  লক্ষ্ণৌ ডায়েরি : নবাব-কাবাব-আদাব-শবাবের শহরে কয়েকদিন   রম্যরচনা   ১.  ...

সভ্যতা

-    প্রাচীন গুহামানব কি কি হাতে নিয়ে মলত্যাগ করতে যেত ? -    জলের পাত্র | -    উঁহু.. সেসময় অত জলের ব্যবহার ছিল বলে মনে হয়না | চারিদিকে গাছ-গাছালি, তার কোটি কোটি পাতা | জলের কি দরকার ? -    বুঝেছি, বল্লম | আত্মরক্ষার্থে | চারিদিকেই তো বন্য জন্তু ঘুরে বেড়াত | -    এবারে ঠিক হয়েছে | এবার বলত এখনকার দিনে গ্রামে-গঞ্জের বেশিরভাগ মানুষ কি নিয়ে ওই কাজটি করতে যান ? -    জলের মগ | রাতের বেলা হলে সঙ্গে থাকবে টর্চ বা হ্যারিকেন | আর কেউ কেউ বিড়ি | -    আর শহুরে লোকেরা ? -    সুস্থ মানুষেরা তো খালি হাতেই যান, খুব বেশি হলে একটা বিড়ি বা সিগারেট | -    আর বাকিরা ? -    স্মার্টফোন বা খবরের কাগজ | _________________     © অর্ঘ্য দাস ১৬-০৮-২০১৫ 

নরেন্দ্রপুরের স্মৃতিকথা (Memoirs of RKM Narendrapur) : পর্ব ৯ : মুড়ি-মাহাত্ম্য

নরেন্দ্রপুর মিশনে পড়াকালীন মুড়ি ছিল আমাদের জাতীয় খাদ্য  |  আমরা প্রথম দিনেই বিকালের টিফিন হিসাবে পেয়েছিলাম রসগোল্লা-মুড়ি, সঙ্গে একগ্লাস দুধ  |  কম্বিনেশনটা আমার কাছে একদম অপরিচিত ছিল, ফলে খেতে গিয়ে প্রাণান্তকর অবস্থা হয়েছিল  |  পরে অবশ্য অভ্যাস হয়ে গেছিল  |  মিশনে সপ্তাহে প্রায় প্রতিদিনই বিকালের টিফিনে মুড়ি দেওয়া হত, কোনদিন সঙ্গে থাকত চালের পায়েস, কোনদিন বা সুজির পায়েস, কোনদিন চপ বা সিঙ্গাড়া আবার কোনদিন দেওয়া হত চানাচুর-পেয়াঁজ-লঙ্কা-ছোলা-সিদ্ধ আলুর কিউব সহযোগে মশলামুড়ি  |  আমাদের ব্যাচে বেশ কিছু মেদিনীপুর নিবাসী ছেলে ছিল, ভুরি ভুরি মুড়ি খেতে এদের জুড়ি ছিল না  |  ওদের মুড়ি খাওয়া দেখে আমাদের তাক লেগে যেত মাঝেমাঝে  | ক্লাস নাইন আর টেনে পড়াকালীন আমরা কয়েকজন ডাইনিং হল থেকে গ্লাসে বা পকেটে ভরে মুড়ি চুরি করে রুমে নিয়ে আসতাম  |  রাতে খাওয়াদাওয়ার পর 'Self-study' টাইমে মহা উৎসাহে ‘মশলামুড়ি উৎসব’ পালন করা হত  |  আমি তখন যোগানন্দ ভবনে থাকি, ২০০০-২০০২ সাল, হোস্টেল সুপার ছিলেন নাড়ু (নারায়ণ) মহারাজ ...