Skip to main content

Posts

Showing posts from June, 2015

নরেন্দ্রপুরের স্মৃতিকথা (Memoirs of RKM Narendrapur) : পর্ব ১ (খ) : আবার অজিতদা (Ajit da - part 2)

“The mediocre teacher tells. The good teacher explains. The superior teacher demonstrates. The great teacher inspires.” – William Arthur Ward  আমার মতো অনেক নরেন্দ্রপুর-প্রাক্তনীরই স্কুল-স্মৃতির অনেকটা জায়গা জুড়ে আছেন অজিতদা  |  ছাত্রজীবনে অনেক মহাপ্রাণ শিক্ষকের সংস্পর্শে এসেছি, কিন্তু অজিত কুমার সেনগুপ্তের মতো আর কাউকে পাইনি  |  তিনি ছিলেন অদ্বিতীয়  |  তাঁর মতো ব্যক্তিত্বকে লেখার অক্ষরে ছোঁয়া যায়না, তবু বলছি,  অজিতদাকে নিয়ে আগের লেখাটা লিখে নিজে বড় তৃপ্তি পেয়েছি  |  পাঠকরাও ভালো লেগেছে বলে জানিয়েছেন  |  সেজন্যই অজিতদার আরো কিছু স্মৃতি পাঠকদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার ইচ্ছা জাগলো  | লোকে বলে “First impression is the last impression”, কিন্তু মজার কথাটা হলো অজিতদাকে প্রথম দর্শনে কিন্তু আমাদের মোটেই ভালো লাগেনি  |  ক্লাস এইটে প্রথমদিন পড়াতে এসেই যেরকম মস্তানি-মার্কা কথাবার্তা বলেছিলেন তাতে ভয়ে আমাদের আত্মারাম খাঁচাছাড়া হয়ে গেছিল  |  অজিতদাকে নিয়ে আমার আগের লেখাটায় সেই ক্লাসের কথা লিখেছি | কিন্ত...

কঠিন প্রশ্ন, সোজা উত্তর

Article no. - 23 আজ থেকে প্রায় পনেরো বছর আগের কথা | নদিয়া জেলার ‘বগুলা’ নামক জায়গায় আমার এক পিসি থাকেন, তাঁর বাড়ি আমরা সেবার বেড়াতে গিয়েছি | সেসময় বগুলা ছিল একেবারে গন্ডগ্রাম, পিসির বাড়ির একপাশে ছিল বিশাল ভূতুড়ে বাঁশ বন, আর আরেকদিকে ছিল ধান ক্ষেত | পিসির মেয়ে, মানে আমার পিসতুতো দিদির শ্বশুরবাড়ি ছিল ওই পাড়াতেই | সেই দিদির ছেলে তখন বোধহয় ক্লাস ওয়ানে পড়ে, স্কুল বাড়ির পাশেই – সরকারী প্রাথমিক স্কুল | ক্লাসরুমের মেঝেতে ছেলেরা বস্তা, চাটাই ইত্যাদি পেতে বসত | স্কুলে মিড-ডে মিলের ব্যবস্থা না থাকলেও ছাত্র-ছাত্রীদের চাল, ছাতু ইত্যাদি দেওয়া হতো যা তারা বাড়ি নিয়ে আসত | আমার এই ভাগ্নেটি প্রতিদিন সকালে বই-খাতা ভর্তি টিনের বাক্স হাতে নিয়ে, একটা ভাঁজ করা ছোট পাটের বস্তা বগলদাবা করে স্কুলে যেত আর ঘন্টা দুই-তিন পর আনন্দে তিড়িং-বিড়িং করতে করতে দৌড়ে দৌড়ে বাড়ি ফিরত | একদিন তার সাথে গল্প করতে করতে তাকে স্কুলসংক্রান্ত দুটো প্রশ্ন করেছিলাম | সরল শিশুমনের সেই উত্তরদুটো আমার সারাজীবন মনে থাকবে | প্রথম প্রশ্ন ছিল, “তুমি স্কুলে কি নিয়ে যাও ?” আমি আশা করেছিলাম উত্তরটা হবে বইপত্র, খাতা, পেন-পেন্সিল ই...

বর্ষার কবিতা

কবিতা : ১  ======= বৃষ্টি, ভারী মিষ্টি, প্রকৃতির অপরূপ সৃষ্টি ! দু’চোখে যেদিকে যায় দৃষ্টি, গাছেরা মাথা নাড়িয়ে জানাচ্ছে সন্তুষ্টি || ঝাপসা জলমাখা রাস্তায় কচিকাঁচার দল, হাসিতে খুশিতে উদ্দাম উচ্ছ্বল | মেঘবালিকার চোখে কাজল, ঝরে জল, ছলছল | ঝিঝিপোকা, ব্যাঙের ডাকা, ঠান্ডা হাওয়ার ছ্যাঁকা, জানলায় বসে আমি একা, নয়ানজুলিতে ভাসে কাগজের নৌকা | কবিতা : ২ ======== ইলশেগুঁড়ি বিকালে চপমুড়ি, রাতে মাছভাজা খিচুড়ি, তারপর দিয়ে কাঁথা মুড়ি, তোফা ঘুম হবে বাগিয়ে ভুঁড়ি | মুষলধারা, মনখারাপ করা, কিম্বা আনন্দে আত্মহারা, সকলে মিলে বসবো বন্ধুরা - ধোঁয়া উড়িয়ে | সঙ্গে থাকবে মদিরা | ____________________   © অর্ঘ্য দাস দুর্গানগর, ১২-০৬-২০১৫